ভোটবাক্স বোঝালো মমতাতেই ভরসা বাংলার
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
এক মাস আগেও বিদ্রোহের আগুন জ্বলেছে পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। আর জি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে স্লোগান উঠেছে শাসক দল বিরোধী। দলে-দলে পথে নেমেছে আমজনতা। যা দেখে বিরোধীরা রীতিমতো উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল। দাবি করেছিল, মমতার বিদায় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! কিন্তু সকলের আড়ালে মুচকি হেসেছিল জনতা। উপনির্বাচনের ফলে তারা বুঝিয়ে দিল, আর জি কর আন্দোলন স্রেফ বিরোধীদের ফোলানো বেলুন! মমতাতেই ভরসা রাখছে বঙ্গবাসী।
৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকরের ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল সাধারণ মানুষ। ১৪ আগস্ট ‘রাতদখল’ কর্মসূচিতে অভিনব ছবি দেখেছিল গোটা ভারত। শুধু ‘রাতদখল’ নয়, একের পর এক আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ যোগ দিয়েছেন। রাস্তায় আমজনতার ঢল দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছিল, এবার বোধহয় শাসকের গদি টলমল। কিন্তু তৃণমূল প্রথম থেকে দাবি করে এসেছে, আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছে বাম-বিজেপির চক্রান্ত। সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছে। এমন আবহে ছিল ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচন। কেউ কেউ বলছিলেন, ছাব্বিশের ভোটের আগে এটা সেমি ফাইনাল। আরও এক ধাপ এগিয়ে কারও দাবি ছিল, এটা তৃণমূলের অ্যাসিড টেস্ট। ভোট হয় মাদারিহাট, সিতাই, তালড্যাংরা, মেদিনীপুর, নৈহাটি, হাড়োয়া কেন্দ্রে। সব কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। ভোটের ব্যবধান কোথাও ৫০ হাজারের বেশি তো কোথাও আবার তা লাখ পেরিয়েছে। যা দেখে চওড়া হাসি ঘাসফুল শিবিরে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, আর জি কর আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ততা থাকলেও তা একেবারে নগরকেন্দ্রিক। যার কোনও প্রভাব গ্রামাঞ্চলের মাটিতে পড়েনি। বরং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিনামূল্যে রেশন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পের প্রত্যক্ষ সুবিধা পান তারা। বাড়ির সামনে ঝকঝকে পাকা সড়ক রয়েছে। ফসলের ক্ষতি হলে মেলে সরকারি বিমা। ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর আগে এ সমস্ত সুযোগ-সুবিধার কথা মাথায় রেখেছিলেন তারা। অন্যদিকে আন্দোলন, দ্রোহের ঝাঁজ শুধুমাত্র কলকাতা ও হাতেগোনা কিছু শহরের মধ্যে আবদ্ধ থেকে গিয়েছে। বিরোধীরা সুর চড়ালেও সেই সুর বাংলার মাঠঘাটে নিয়ে যেতে পারেনি। ফলে ভোটের বাক্সে আর জি কর আন্দোলনের কোনও প্রভাব নেই। যদিও বিরোধীরা বলছে, বাংলায় ভোটপ্রক্রিয়ায়ই হয় না! বিধানসভা-লোকসভা ভোটেই অধিকাংশ বুথে এজেন্ট বসানো যায়নি। ভোট তো লুট হয়েছে। আর এ তো উপনির্বাচন!
আর অ্যাসিড টেস্ট জিতে চওড়া হাসি নিয়ে তৃণমূলের দাবি, আর জি কর নিঃসন্দেহে নৃশংস ঘটনা। তবে তা বিচ্ছিন্ন। বিরোধীরা একে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। একে হাতিয়ার করে রাজ্যে পালাবদলের স্বপ্ন দেখছিল। ভোটের বৈতরণী পার করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্যবাসী তাঁদের সেই স্বপ্নে ছাই ফেলেছে। বুঝিয়ে দিয়েছে আর জি কর আন্দোলন বিরোধীদের ফোলানো বেলুন! আরও মা-মাটিতেই ভরসা বাংলার মানুষের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বাংলার মা-বোন-মেয়েদের ভালো চান, এই প্রতিষ্ঠিত সত্য একটি আর জি কর কাণ্ডে বদলে যায় না, তা এই ভোটবাক্সে বুঝিয়ে দিল বাংলার মানুষ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
অপরিকল্পিত বাধ-রাস্তা নির্মাণে মাছের বিচরণ ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয়েছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
সাটুরিয়ায় তেলের পাম্পে ভয়াবহ আগুন
নির্বাচনব্যবস্থা আমূল পুনর্গঠনের তাগিদ রাষ্ট্রচিন্তাবিদদের
কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা
ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৬
রাজশাহীর বাঘায় আম বাগানে যুবকের লাশ
মতামত গ্রহণে ওয়েবসাইট চালু করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন
ওরেশনিক সমগ্র ইউরোপে হামলা করতে পারে: রুশ কমান্ডার
দানে পাওয়া কাপড়ের মনোরম ডিজাইনে ভাইরাল ভারতীয় একদল ডিজাইনার
কেমন হল ভিভো ভি৪০ লাইটের অভিজ্ঞতা!
তাদের রাজনীতি করতে দেবে কি-না তা দেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে: জামায়াতে সেক্রেটারি
উত্তরায় হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলাও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা
পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ৩২
আল্লাহকে পেতে হলে রাসুলের পথ অনুসরণ অপরিহার্য: মাওলানা রুহুল আমিন খান
ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার
ভোটের মাধ্যমে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ঐক্যবন্ধ থাকতে হবে-লুৎফর রহমান আজাদ
গফরগাঁওয়ের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুছ ছালামের ইন্তেকাল
আওয়ামী দোসররা মানুষের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে: তানভীর হুদা
ফিলিস্তিনিদের জন্য কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে মিশরে পৌঁছেছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল
১৭টি বছর শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন করেছে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা- কেন্দ্রীয় সভাপতি